Homeসর্বশেষ সংবাদতথ্য গোপন করতে মরিয়া নড়াইলের সিভিল সার্জন

তথ্য গোপন করতে মরিয়া নড়াইলের সিভিল সার্জন

মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল।।

বর্তমান সরকারের দেশ ব্যাপি ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে নড়াইল জেলায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গ্রামকে শহরে পরিণত করতে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় চিকিৎসা খাতেও এসেছে আমুল পরিবর্তন।নড়াইল চিকিৎসা খাতের কিছু কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার কারনে বিঘিœত হচ্ছে সরকোরের এ সব উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড। নড়াইলের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অনিয়ম দূর্নীতির কারনে সর্বশান্ত হচ্ছে জেলার সাধারন জনগন।

জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এসব অবৈধ কর্মকান্ড।অদৃশ্য কারনে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা: সাজেদা বেগম।এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও জেলায় অবস্থিত বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের তথ্য গোপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সিভিল সার্জন ডা: সাজেদা বেগম নিজেই।

নড়াইল সিভিল সার্জন ডা: সাজেদা বেগমের কাছে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে জেলার বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের তথ্য না পেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে। গত ১৬ জুলাই নড়াইল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি কাজী আশরাফ নড়াইলে অবস্থিত সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত এবং নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের তালিকার জন্য লিখিত আবেদন করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলায় বিভিন্ন সময়ে গড়ে ওঠা ৩১টি ক্লিনিক এবং ৫৫টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নামের তালিকা গণমাধ্যম কর্মী কাজী আশরাফ কে প্রদান করেন ডা: সাজেদা বেগম। তালিকায় প্রতিষ্ঠান গুলির নাম উল্লেখ থাকলেও নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এর কলাম ফাকা রাখা হয়। তথ্য প্রাপ্তির আবেদনে উল্লেখিত জেলায় নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং অনিবন্ধীত বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নামের তালিকা কেন প্রদান করা হয় নি এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা: সাজেদা বেগম বলেন, আমরা সরকারী চাকরি করি। আমাদের কিছু রেষ্ট্রিকশন আছে।

তাই নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং অনিবন্ধীত বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নামের তালিকা সাংবাদিকদের দেওয়া যাবে না।

সাংবাদিক কাজী আশরাফ বলেন, জনগণের তথ্য অধিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাস করেছে। আইনটি জনবান্ধব। জনগণ আইনটি ব্যবহার করে তার প্রয়োজনীয় তথ্য বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পেতে পারেন।

কিন্তু জনস্বার্থে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করলে আংশিক তথ্য প্রদান করে বাকি তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান নড়াইল সিভিল সার্জন। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের এধরনের কোন বিধি নিষেধ আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের তথ্য দিলে কোন অসুবিধা হবে বলে আমি মনে করি না।

তথ্য দিলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হবে। বিশুদ্ধ ও সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা সকলেরই দায়িত্ব। সিভিল সার্জন দপ্তর কর্তৃক তথ্য গোপনের বিষয়টি ভিন্ন ভাবে দেখছেন সচেতন মহল।

সর্বশেষ খবর