Homeসর্বশেষ সংবাদজমে উঠেছে গ্রামীণ শিল্প পন্য মেলা

জমে উঠেছে গ্রামীণ শিল্প পন্য মেলা

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
জমে উঠেছে রাজবাড়ীর বহরপুরে গ্রামীণ শিল্প পন্য মেলা। শুরুতে ক্রেতা-দর্শনার্থী কম হলেও দিন যত যাচ্ছে লোকসমাগম ততই বাড়ছে।
মেলার ৯-তম দিন মঙ্গলবার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দেশি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর  প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন অফার ঘোষণা করেছে।
সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলার গেটে প্রবেশের লাইনও লম্বা হতে দেখা গেছে।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই মানুষের ভিড়ে মেলায় পা ফেলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। মেলামুখী মানুষের স্রোতের কারণে মূল রাস্তার দুই দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান মেসার্স সামিউল এন্টারপ্রাইজেরের স্বত্বাধিকার মনির আহম্মেদ  বলেন, এবার মেলায় দর্শনার্থী তুলনামূলক কম। শুরুর দিকে মেলায় লোকসমাগম কম হয়েছে।
এবারের মেলায় যেসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- দেশীয় কোম্পানিগুলোর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, পাট ও পাটজাতপণ্য সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিশিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক সামগ্রী, মেলামাইন সামগ্রী, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ঘড়ি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ইমিটেশন জুয়েলারি, সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, ক্যাবল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, আসবাবপত্র ও হস্তশিল্পজাত পণ্য, উপহার সামগ্রী, কনস্ট্রাকশন সামগ্রী, হোম ডেকর, বেকারি পণ্য।
এছাড়াও মেলায় দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে রয়েছে সার্কাস, শিশুদের জন্য একাধিক রাইড,পানির ফোয়ারা, ভুতের বাড়ি।
মেলায় আসা কলেজ ছাত্র মনির হোসেন বলেন, আজ প্রথম মেলায় ঘুরতে আসছি।মেলার পুরো প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখার ইচ্ছা আছে। ঘুরতে ঘুরতে কিছু পছন্দ হলে কিনব। তবে নির্দিষ্ট কোনো পণ্য কেনার জন্য মেলায় আসিনি।
বহরপুরের রাজু আহম্মেদ বলেন, মেলার প্রথম থেকে পরিবার নিয়ে আসার ইচ্ছা ছিল। সময় সুযোগ করতে না পারায় এতদিন আসা হয়নি। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গৃহস্থালি সামগ্রী কেনার পরিকল্পনা আছে।
বহরপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী লিটন শেখ বলেন, আমাদের এলাকায় এমন আয়োজন ইতিপূর্বে হয়নি।আজ সময় পেয়ে পরিবার নিয়ে আসছি।কিছু কেনাকাটা করবো।
ভোলা থেকে আসা মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ (কসমেটিকস দোকান) মো: কবির হোসেন বলেন, শুরুতে লোকসমাগম বেশি ছিল। কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে অনেক বড় লোকসান হয়ে গেছে। তবে মেলা আরো কিছু দিন বাড়লে লোকসান পৌঁছাতে পারবো।
রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে আসা মৃৎ শিল্প পণ্যের দোকানী মো: রনি বলেন, আজ দুইদিন বিক্রি কমেগেছে।লটারি বন্ধ থাকায় আমাদের লোকসান হচ্ছে।
বরিশাল থেকে আসা শো-পিছের দোকানী সাইফুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় লোক সমাগম থাকলেও লটারি না থাকায় রাতে ফাকা হয়ে যায় মেলার মাঠ।এর মাঝে প্রায় এক সপ্তাহ বৃষ্টির কারণে বন্ধ ছিলো মেলা।ফলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার আয়োজনে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে মেলা শুরু হয়।চলবে আরও চার দিন।তবে দর্শনার্থীদের আগমনের উপর ভিত্তি করে আরও কয়েকদিন বাড়িতে পারে।

সর্বশেষ খবর