Homeসর্বশেষ সংবাদপানছড়িতে বর্বোরচিত হত্যার প্রতিবাদে বাঘাইছড়িতে চার সংগঠনের বিক্ষোভ

পানছড়িতে বর্বোরচিত হত্যার প্রতিবাদে বাঘাইছড়িতে চার সংগঠনের বিক্ষোভ

ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।
সাবেক ছাত্রনেতা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা,গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যা এবং ইউপিডিএফ-এর সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতি দত্ত চাকমা, মিলন চাকমাকে অপহরণের প্রতিবাদে সমাবেশটি অনুষ্টিত হয়।
১৩ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় কিরন চাকমার সঞ্চালনায় পার্বত্য চট্রগ্রাম নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি অমিতা চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রুপায়ন চাকমা পিসিপি সাংগঠনিক সম্পাদক রাঙ্গামাটি জেলা শাখা, নিউটন চাকমা সভাপতি গনতান্ত্রিক যুব ফোরাম সাজেক থানা শাখা, সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিশাখা চাকমা সাংগঠনিক সম্পাদক হিল উইমেন্স ফেডারেশন বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা ও ইয়ান চাকমা ইউপিডিএফ সংগঠক।
ইউপিডিএফ সংগঠক ইয়ান চাকমা তিনি বলেন, ১১ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময় সেনাসৃষ্ট নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীরা পানছড়িতে সাংগঠনিক সফরে থাকা সাবেক ছাত্রনেতা বিপুল চাকমা, ছাত্রনেতা সুনীল ত্রিপুরা, যুবনেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যা করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে শাসকশ্রেণী বিশেষ কায়দায় সংঘাত জিইয়ে রেখে গণতান্ত্রিক শক্তিকে রুদ্ধ করতে ঠ্যাঙারে নব্যমুখোশদের সৃষ্টি করেছে। আর এই সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে সারা পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে খুন, গুম অপহরণসহ হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডে তারা পাহাড়ে উদীয়মান তরুণ নেতৃত্বকে ধ্বংস করে সমাজে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।
যুব নেতা নিউটন চাকমা বলেন, নব্য মুখোশ সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় থেকে এ ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। সরকার তাদের গ্রেফতার না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শক্তিকে দমন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুব সমাজসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
শান্ত চাকমা দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে বলেন, শাসকগোষ্ঠির ছত্রছায়ায় বর্তমানে দেশে এক সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আ্ওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত রেখে সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের রক্ষা করছে। ফলে সন্ত্রাসীদের কোন বিচার হয় না। পার্বত্য চট্টগ্রামেও মিঠুন চাকমা, তপন-এল্টন যুবনেতা পলাশ চাকমার চিহ্নিত খুনিদের বিচার হয়নি, বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনদের হত্যার বিচারও এ সরকার করবে না। সরকারের কাছে বিচার চাওয়াই বৃথা। তাই এই খুনি সন্ত্রাসীদের বিচারের দায়িত্ব জনগণকেই নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ একদিন না একদিন এই খুনিদের বিচার করবেই।
তিনি শাসকগোষ্ঠির সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে শোককে শক্তিতে পরিণত করে ছাত্র-যুব-নারী সমাজকে সংগঠিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সর্বশেষ খবর