Homeরাজনীতিনির্বাচনে যাওয়ার সাধ মিটেছে বিএনএমের, ভিন্ন সুর তৃণমূলের

নির্বাচনে যাওয়ার সাধ মিটেছে বিএনএমের, ভিন্ন সুর তৃণমূলের

সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে সরকার গঠন কিংবা প্রধান বিরোধী দল হবার প্রত্যয় জানালেও নির্বাচনে ভরাডুবির পরে এবার সুর বদলেছে অনেক রাজনৈতিক দল। কিংস পার্টির খেতাব পাওয়া এসব দলের কেউ বলছেন সাধ মিটেছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার। আবার কেউ বলছেন নিজেদের কৌশলগত ভুলের কারণেই খোয়া গেছে জামানত।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের পরেই সরব হয়ে ওঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবার। এদিকে আদালতের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়া তৃণমূল বিএনপি হাঁকডাক তোলে সরকার গঠনের। আওয়ামী বিরোধী ভোট পুঁজি করে সংসদের নেতৃত্ব পাওয়ার কথাও বলেন দলটির তারা।

তবে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে গিয়ে নানা আওয়াজ তুললেও নানা মহল থেকে কিংস পার্টির খেতাব পায় তারা। ভোটের মাঠে শেষমেষ শতাধিক প্রার্থী দিতে পারলেও ফলাফলে ভরাডুবি ঘটে তাদের।

আদতে স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টি আর চৌদ্দ দলের বাইরে এবারের সংসদে একমাত্র বিরোধী দলের সদস্য কল্যাণ পার্টি। বাকিদের বেশিরভাগই হারিয়েছেন জামানত। ভোটের পরে তাদের উপলব্ধি কী? বিএনএম বলছে, বিশ্বাস করে ঠকেছেন তারা। দলীয় সরকারের অধীনে ভবিষ্যতেও আর ভোটে না যাওয়ার কথা বলছে দলটি। আপতত মনোযোগ দিতে চান দল গুছানোয়। আছে আওয়ামী বিরোধী আন্দোলন করার চিন্তাও।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান সময় সংবাদকে বলেন, আমরা বিশ্বাস নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম, সেই বিশ্বাসটা ভাঙা হয়েছে। যদি এভাবে বলা যায়, কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হইল, সে বাঁচিয়া ছিল। দলীয় সরকারের অধিনে বাংলাদেশে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এটাই বাস্তবতা। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে দলকে সুসংগঠন করা। তারপর সারাদেশে নতুনভাবে আন্দোলন বা রাজনৈতিক কৌশল কী হবে, সেটা আমরা বসে চিন্তা ভাবনা করবো।

আবার তৃণমূল বিএনপি বলছে, নিজেদের ভুলের কারণেই হেরেছেন তারা। রাজনৈতিক কৌশলে নতুন দল হিসেবে ভোটের সমীকরণটা ঠিক মেলাতে পারেননি। আসছে নির্বাচনের আগে দল গুছিয়ে ভালো কিছু করার পরিকল্পনা তাদের।

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেন,

নির্বাচনে আমাদের আশা আকাঙ্খা যাই থাকুক, তার প্রতিফলন ঘটে নাই। অনেকের ধারনা এটা একটা কিংস পার্টি। কিন্তু সরকার আমাদের এই পার্টি গঠনের কোনো সহযোগিতা করে নাই। আমরা মনে করি, আমরা হেরে গেছি। হেরে গেছি, হয় বুদ্ধির কাছে হেরে গিয়েছি, সাধারণত যে বুদ্ধিটা আমাদের ছিল বা নেই, বা সরল বিশ্বাসের কাছে হেরে গেছি। অথবা আমাদের অতিরিক্ত আত্ম মনোবল থাকার কারণে হেরে গিয়েছি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে অংশ নেয় মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। ২৯৮ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকা ২২৩, লাঙ্গল ১১, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১ (নৌকা), জাসদ ১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬১টি আসনে জয়লাভ করেছে। এ ছাড়া নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে এবার ভোট হয় ২৯৯ আসনে। গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

সর্বশেষ খবর