Homeখেলাবিশ্বকাপে হেরে গুগলে মৃত্যু নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতেন ব্রাজিল তারকা

বিশ্বকাপে হেরে গুগলে মৃত্যু নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতেন ব্রাজিল তারকা

২০২২ বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল ব্রাজিল। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালেও ওঠে তারা। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আগে গোল করেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাদ পড়ে যায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। হেক্সার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ব্রাজিলের তারকারা। এমনকি সে সময় নাকি তিনি মৃত্যু নিয়ে বাজে চিন্তায় ডুবে গিয়েছিলেন সার্বিয়ার বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে দারুণ গোল করা রিচার্লিসন।

বিশ্বকাপের পর ঘুরে দাঁড়োনার চেষ্টা করছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। কাতারের বিশ্ব আসরের পর থেকে ধুকতে থাকা দলটা সম্প্রতি দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ইংল্যান্ড ও স্পেনের বিপক্ষে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে। এই দুই ম্যাচের স্কোয়াডে ছিলেন টটেনহ্যামের স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। কিন্তু কোনো ম্যাচেই মাঠে নামার সুযোগ পাননি তিনি। তবে মাঠের বাইরে চমকে যাওয়ার মতো কথা শুনিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায়ের পর মানসিক অবস্থার বিবরণ দিতে গিয়ে রিচার্লিসন বলেন, ‘আমি তখন কেবলই নিজের সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপ শেষ করেছি। আমার মনে হচ্ছিল, আমি নিজের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। আমি জানি না কেন, আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চেয়েছি বলছি না, কিন্তু হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং আমি হাল ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। এমনকি আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ভাবা হলেও বিশ্বকাপের পর মনে হচ্ছিল, সব ভেঙে পড়েছে।’

এই অবস্থা থেকে সেরে উঠতে মনোবিদের সাহায্য নিয়েছিলেন রিচার্লিসন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, থেরাপিস্টই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আমি তখন শুধুই বাজে ব্যাপারগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। এমনকি গুগলেও আমি সেই আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। আমি শুধু মৃত্যু নিয়ে আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজতাম।’

এই স্ট্রাইকার মনে করেন, কারো যদি মনোবিদের সাহায্য দরকার হয়, তবে দ্বিধা ছাড়াই যাওয়া উচিত, ‘আজ আমি বলতে চাই, আপনার যদি মনোবিদের প্রয়োজন হয়, তবে তার কাছে যান। কারণ, এভাবে নিজেকে মেলে ধরাটা ভালো। ফুটবল ও ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার সামনে বিষয়টি নিয়ে আসায় আজ একজন থেরাপিস্ট আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কারণ, আমরা পছন্দ করি বা না করি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা জীবন বাঁচিয়ে দেয়।’

এক সময় মনোবিদের কাছে যাওয়াটা অনর্থক মনে করতেন। বিষয়টি যে তার কাছে নিছক আনুষ্ঠানিকতা মনে হতো সেটাও জানান তিনি, ‘আগে আমার বিষয়টা নিয়ে কুসংস্কার ছিল, ভাবতাম এগুলো বোকামি। আমার পরিবারেও এমন অনেকে আছেন, যারা মনে করেন, মনোবিদের কাছে যাওয়া মানে পাগলামি। কিন্তু আমি আবিষ্কার করি, এটা দারুণ ব্যাপার। সত্যি বলছি, এটা আমার জীবনে সবচেয়ে সেরা আবিষ্কার।’

সর্বশেষ খবর