Homeজেলানীলফামারীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

নীলফামারীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ

নীলফামারীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। গত কয়েক দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলের শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ।

ঘন কুয়াশা, হিমেল ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আসলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা প্রচণ্ড। দৃষ্টিসীমা কমে ৩০ থেকে ৪০ মিটারের মধ্যে আসায় সড়কে যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

এদিকে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ শীতে কাতর হয়ে শীত বস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এ ছাড়া শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে।

বাসচালক শংকর কুমার রায় বলেন, ‘প্রায়দিনই দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। এতে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে মহাসড়কে। ঘন কুয়াশার কারণে দূরপাল্লার নৈশকোচগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরি হচ্ছে।’

সাওম শিকদার নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘এবারের হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। গরম কাপর না থাকায় অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।’

জহুরা নামে এক গৃহকর্মী বলেন, ‘অতিরিক্ত শীতে পানির কাজ করতে কষ্ট হয়ে যায়। তবুও জীবিকা নির্বাহের জন্য করতে হয়।’

রওফ নামে এক পথচারী বলেন, ‘জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে রিকশা, মাহেন্দ্র ও ইজিবাইকের চলাচল কম। বিভিন্ন এলাকার সড়কে কয়েকজন মিলে আগুন পোহাতে বসেছেন।’

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। তাছাড়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই অবস্থা আরও কিছু দিন চলবে।

সর্বশেষ খবর