Homeআন্তর্জাতিকসেনা সমর্থিত শাসনের অবসানের সম্ভাবনা

সেনা সমর্থিত শাসনের অবসানের সম্ভাবনা

থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী রোববার (১৪ মে)। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ থান ওচা আবারও নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। খবর বিবিসির।

ভোটের আগে জনমত জরিপে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, এক দশকের সেনা সমর্থিত শাসনের বিরুদ্ধে রায় দিতে যাচ্ছেন থাই নাগরিকরা।

রোববারের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে শুক্রবার শেষ দিনের প্রচারণা চালান দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রা। একইদিন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ থান ওচাও প্রচারণায় অংশ নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেন।

তবে ওচার জন্য এবারের নির্বাচন জেতাটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। জনমত জরিপে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। আর এ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধীর গতিকে দায়ী করা হচ্ছে।

জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন ৩৬ বছর বয়সী পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রা। ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তার বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। কয়েক মাস ধরেই জনমত জরিপগুলোয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ থান ওচার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন পায়েটংটার্ন।

নির্বাচনে সেনাসমর্থিত প্রধানমন্ত্রী ওচার দলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ের নেতৃত্বাধীন পিউ থাই পার্টি। জনগণের দাবি, পিউ থাই পার্টি সাধারণ মানুষের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে পিউ থাই পার্টি অন্যান্য দলের চেয়ে বেশি আসন জিতলেও সরকার গঠন করতে পারেনি।

২০২০ সালে রাজধানী ব্যাংককে গণতন্ত্রপন্থি ব্যাপক বিক্ষোভের পর দেশটিতে প্রথমবারের মতো এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। মতামত জরিপে পিউ থাই পার্টির নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি এমএফপি।

তবে জরিপে এগিয়ে থাকলেও বিপুল ভোট পেয়ে জয়ের সম্ভাবনা কম পিউ থাই পার্টির। সরকার গঠন করতে দলটিকে অংশীদার খুঁজতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ১৯৩২ সালে রাজতন্ত্রের অবসানের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ বারেরও বেশি অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়েছে থাইল্যান্ড।

সর্বশেষ খবর