Homeসর্বশেষ সংবাদপাংশায় প্রতিবন্ধী না হয়েও নিচ্ছেন নিয়মিত ভাতা

পাংশায় প্রতিবন্ধী না হয়েও নিচ্ছেন নিয়মিত ভাতা

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
রাজবাড়ীর পাংশায় দিব্যি সুস্থ মানুষ প্রতিবন্ধী সেজে নিয়মিত ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বিলজনা এলাকার অরবিন্দু বিশ্বাসের ছেলে মনি কুমার একজন সুস্থ-সবল মানুষ। পেশায় তিনি একজন শিক্ষক । তিনি পাচ্ছেন অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা।
একই গ্রামের বিভূতি জোয়ারদারের ছেলে বিধান জোয়াদ্দার, নিপেন জোয়াদ্দারের স্ত্রী মনি মালা জোয়াদ্দার, জতিন বিশ্বাসের ছেলে অজিত বিশ্বাস ও মেয়ে কাজলি রানার নাম রয়েছে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায়। তাদের কেউ প্রতিবন্ধী না।
স্থানীয়রা জানান, তারা কেউই প্রতিবন্ধী না। সবাই সুস্থ-সবল মানুষ। স্থানীয় সৌরভ বিশ্বাস টাকা খেয়ে তাদের প্রতিবন্ধীর তালিকায় নাম দিয়েছেন। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা। সুস্থ হয়েও কেন প্রতিবন্ধী ভাতা নেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৌরভ বিশ্বাস ফরিদপুর ডায়াবেটিকস হাসপাতালে চাকরি করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে রয়েছে সখ্যতা।হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে জালিয়াতির মাধ্যমে সুস্থ মানুষদের নামে প্রতিবন্ধী মেডিকেল সনদ সংগ্রহ করেন। পরে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র নিয়ে তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় নিয়ে আসেন। এর বিনিময়ে ইনি প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে নেন মোটা অংকের অর্থ।
ভাতা ভোগী শিক্ষক মনি কুমার বলেন, চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে সুবিধার জন্য প্রতিবন্ধী কার্ড করেছিলাম।পরে সমাজ সেবা অফিসে আবেদন করলে প্রতিবন্ধী ভাতা চালু হয়।কি সমস্যা জন্য প্রতিবন্ধী কার্ড হয়েছে? তিনি বলেন চোখে কম দেখতে পাই।
ভাতা ভোগী বিধান জোয়াদ্দার বলেন, আমি চোখে কম দেখি।সৌরভ কে? তিনি বলেন সৌরভ আমার জামাই হয়।
এ বিষয়ে সৌরভ বিশ্বাস বলেন,আমি ফরিদপুর ডায়াবেটিকস হাসপাতালে চাকরি।এলাকায় তেমন যাওয়া হয় না।তবে চেয়ারম্যানের সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।বিধান বিশ্বাস আপনার কি হয়?তিনি আমার শশুর। তবে তার প্রতিবন্ধী ভাতা আছে কি না আমি জানি না।আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
পাংশা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী মেডিকেল সনদ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিবন্ধী যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তালিকা আমাদের কাছে জমা দেয়া হয়।উপজেলা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা শুধু এটা বাস্তবায়ন করি। যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর