Homeজাতীয়প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেলায় এসে মজা নেই: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেলায় এসে মজা নেই: শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেলায় এসে মজা নেই। ডানে-বামে-সামনে-পেছনে শুধুই নিরাপত্তা। এই বেড়াজালে আটকে থাকায় মেলায় ঘোরার স্বাধীনতাই হারিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছোটবেলায় মেলায় আসার কথা মনে পড়ার কথাও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি ভবনে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বাংলা একাডেমির লাইব্রেরিটা খুব পছন্দ ছিল আমার। বান্ধবী বেবি মওদুদকে সঙ্গে নিয়ে টিএসসিতে প্লেটে ভাত ভাগাভাগি করে খেতাম। পরে লাইব্রেরিতে বসে বই পড়তাম। বইমেলার ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো দরকার। তবে বাংলা একাডেমির একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে স্থান হিসেবে।’

ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, ‘মোনায়েম খান রবীন্দ্র সংগীত বন্ধ করতে বলেছিলেন। তৎকালীন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক হাই। মোনায়েম খান তাকে বলেছিলেন, এখানকার শিক্ষকরা কেন রবীন্দ্র সংগীত রচনা করতে পারেন না? তখন উত্তরে হাই বলেছিলেন, উনি লিখতে পারেন- তবে সেটি রবীন্দ্র সংগীত না, হবে হাই সংগীত! তাহলে বোঝেন, কেমন রাষ্ট্রের অধীনে ছিলাম আমরা!’

প্রকাশকদের এখন থেকে মুদ্রণের পাশাপাশি ডিজিটালেও বই প্রকাশের পরামর্শ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বাংলা ভাষা মধুর। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। এরপরও বই প্রকাশ হবে। তা কখনো যাবে না। বই পড়ার আনন্দ আছে। তবে এখনকার শিক্ষার্থীরা ট্যাবে ও ল্যাপটপে বই পড়ে। আমরা সেভাবে আনন্দ পাই না।’

‘ভাষার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা উচিত। তাই প্রকাশকদের বলব, এখন থেকে বই ডিজিটালি প্রকাশ করতে হবে। এতে শুধু দেশ নয়, বিদেশেও আমাদের ভাষার বই পৌঁছাতে পারব। অন্য ভাষাভাষীর লোকজনও আমাদের বই পড়ে। পাশাপাশি অডিও ভার্সনও তৈরি করতে হবে। বই প্রকাশে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। বাংলা একাডেমির একটা পৃথক পোর্টাল করে সেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষী সাহিত্যের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

বিদেশি ভাষা অনুবাদের বিপক্ষে অনেকে দাবি তুলেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি অনুবাদের পক্ষে। অনুবাদ না হলে পৃথিবীর এত ভাষা আমরা কীভাবে জানব? কোনো দেশকে জানতে হলে, তাদের সংস্কৃতিকে জানতে হলে ভাষা অনুবাদের মাধ্যমে সহজে জানা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছি। সেটা করতেও পেরেছি। এখন ঘোষণা স্মার্ট বাংলাদেশের। দেশ সর্বক্ষেত্রে স্মার্ট হবে। সমাজের সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমাদের ডিজিাটালি নিয়ে যেতে হবে।’

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version