Homeসর্বশেষ সংবাদ‘বৃষ্টি হলেই চালের ছিদ্র দিয়ে পড়ে পানি, ঝড় বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে...

‘বৃষ্টি হলেই চালের ছিদ্র দিয়ে পড়ে পানি, ঝড় বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে বসবাস’

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

‘ঘরের টিনের চাল মরিচা ধরে জরাজীর্ণ হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে ভিতরে,চারপাশের বেড়া ও দরজা-জানালাগুলো ভাঙাচোরা। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে পলিথিনের ছাউনি। একই অবস্থা শৌচাগারের। এমনই জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের কালিসভা এলাকার আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলো।

প্রায় এক যুগ ধরে মেরামত না করায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলোর এই করুণ দশা। ফলে বাসিন্দাদের কষ্টে দিন কাটছে। বাসিন্দাদের দাবি,এবারের বর্ষার আগেই ঘরগুলো মেরামত করে দিলে তারা নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সারি সারি টিনের ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষ। তবে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের টিনের বেড়া ও চাল। কিছু ঘরে চাল একদমই নেই। জরাজীর্ণ ঘরে বাস করছে পরিবারগুলো।১৯৯৮ সালে আবাসন প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণকাজ করছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। উপায় না পেয়ে নিজেরা ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় নিয়েছেন মেরামতের উদ্যোগ।মেরামতের জন্য চেয়ারম্যানের দেয়া অর্থ ও নিজেদের অর্থ দিয়ে নিয়ে এসে রেখেছেন টিন ও কাঠ।

আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী কাজল আলী,তয়েজ উদ্দিন, হবিবর রহমান রা জানান, আমরা নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ,দিন আনি দিন খায়,সরকার আমাদের বাড়ি করে দিয়েছে। সে বাড়িতেই পরিবার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে বসবাস করছিলাম। কিন্তু বিগত চার বছর যাবত ঘরগুলোর বেহাল অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই ভিজতে হয় পানিতে।আর রাতে বৃষ্টি হলে সারা রাত জেগে এক কোনায় বসে থাকতে হয়। মেরামতের আশায় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি,কিন্তু কোন ফল পাইনি। সামনে আবার বর্ষা মৌসুম, এ নিয়ে খুব চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি, ঘরগুলো মেরামত না করলে এ বছর ঘরে আর থাকা হবে না। বিষয়গুলো নিয়ে ভারশোঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে জানাই, তিনি পরিদর্শন করে আমাদের ১০ পরিবারকে মেরামতের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন, তার সহযোগিতায় মেরামতের কাজ শুরু করেছি, কিন্তু ঘরগুলো মেরামত করতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। চেয়ারম্যানের দেওয়া অর্থ ও আমরা নিজেরা যতটুকু পেরেছি তা দিয়েই টিন, কাট ও মেরামত সামগ্রী কিনে এনেছি,এখনো মিস্ত্রি খরচ সহ অনেক টাকার প্রয়োজন। যদি প্রশাসন আমাদের কথা মাথায় রেখে কিছু সাহায্য করতেন আমরা ভালোভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারতাম।

এ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন জানান,আমার ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের কালিসভা গ্রামের কয়েকটি পরিবার কয়েক বছর যাবত বেহাল অবস্থায় বসবাস করছে।আমি তাদের বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছি। ভাঙাচোরা টিন, পলিথিন দিয়ে কোনরকম টিকে রেখেছে বাড়িগুলো। তাদের বেহাল অবস্থা দেখে,পরিবারগুলোকে বাড়ি মেরামতের জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা ও কয়েকদিন পরে ২৫ হাজার মোট ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেছি।

এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন,খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

সর্বশেষ খবর