Homeশীর্ষ সংবাদবিএফ-৭ আতঙ্কে সতর্কতা নেই বেনাপোল বন্দরে

বিএফ-৭ আতঙ্কে সতর্কতা নেই বেনাপোল বন্দরে

আবারও নতুন করে ভারতসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন বিএফ-৭ সংক্রমণ দেখা দেয়ায় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ স্ক্যানিংসহ বিভিন্ন সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগগুলোকে। তবে নির্দেশনার দুদিন পার হলেও বেনাপোল বন্দরে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনও

সচেতন মানুষরা বলছেন, আগে করোনায় মানুষের জীবনহানিসহ দেশ নানান ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাই এবার সংক্রমণ ছড়ানোর আগেই সুরক্ষা জোরদার করতে হবে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। অসংখ্য মানুষের জীবনহানিসহ নানান ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে আজ যখন সবকিছু স্বাভাবিকের পথে তখন আবারও চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন বিএফ-৭ সংক্রমণ ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্বকে। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সংক্রমণ এড়াতে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ড থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। এসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং ‘পজিটিভ’ যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকচালক আমদানি-রফতানি পণ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেন।

এ ছাড়া চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকেন। এসব মানুষের মাধ্যমে যাতে কোনোভাবে সংক্রমণ না ছড়ায়, সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ গত শনিবার সতর্কতা বাড়াতে দেশের সব বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু এ নির্দেশনা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি বেনাপোল বন্দর ও ইমিগ্রেশনে। এ পর্যন্ত দেশে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৩৯ জন।

সীমান্ত ঘুরে পাসপোর্ট যাত্রীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কারো মধ্যে সচেতনতা চোখে পড়েনি। ইমিগ্রেশনে সুরক্ষা বুথ ও থার্মাল স্ক্যানার থাকলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি। ভারত থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের কেবল করোনা নেগেটিভ সনদ দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ কার্যক্রম।

ভারতগামী যাত্রী রমেশ জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে আগাম সচেতনতা বাড়িয়ে নিজেদের ও দেশকে অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে হবে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ‘মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছি। দ্রুত করোনা প্রতিরোধক সবধরনের সুরক্ষা নেয়া হবে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, নতুন নির্দেশনা এখনও বন্দরে আসেনি। এলে বাস্তবায়ন করা হবে।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version