Homeজেলাস্ত্রীর মরদেহ ওয়ারড্রোবে রেখে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর!

স্ত্রীর মরদেহ ওয়ারড্রোবে রেখে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর!

মেহেদির রং না মুছতেই প্রেম করে বিয়ে করার মাত্র এক মাসেই নিভে গেল সুমাইয়া আক্তার নামে এক নববধূর প্রাণ। স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ওয়ারড্রোবে রেখে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ঘাতক স্বামী মো. মনোয়ার হোসেন ওরফে মিঠু। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া এলাকায়।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন।

মিঠু দিনাজপুর শহরের গুরগোলা এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে। আর নিহত স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বীরগঞ্জ কলেজপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের বড় মেয়ে। তিনি বেসরকারি একটি ব্যাংকে (এবি) কর্মরত ছিলেন। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে শহরের ঘাসিপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন মিঠু।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন বলেন, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে থানায় গিয়ে মিঠু তার স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান। প্রথমে তার কথা বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে পুলিশের একটি দল পাঠিয়ে ঘাসিপাড়ায় তার ভাড়া করা বাসার ৪ তলায় ওয়ারড্রোব থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ওই যুবক জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন ওয়ারড্রোবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদহে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাড়ির মালিকসহ এলাকাবাসী জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনো ঝগড়াঝাঁটি হতে দেখেননি তারা। প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটনে আরও তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন পুলিশে কর্মকতা।

নিহত সুমাইয়ার ভাই ইসহাক আলী বলেন, ‘গত ২৮ জানুয়ারি তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর জানতে পারি, মনোয়ার হোসেনের আগে বউ ছিল। বিয়ের ২৮ দিনের মাথায় বোনকে হত্যা করেছেন তিনি। আমরা তার সর্বোচ্চ সাজা চাই।’

এ ঘটনায় মো. ইসহাক আলী বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ খবর

Exit mobile version