Homeআন্তর্জাতিকইমরান ছাড়াও তোষাখানা থেকে উপহার নিয়েছেন নওয়াজ-জারদারিসহ অনেকে

ইমরান ছাড়াও তোষাখানা থেকে উপহার নিয়েছেন নওয়াজ-জারদারিসহ অনেকে

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও তোষাখানা থেকে বিদেশি উপহার নিয়েছিলেন আরও অনেক নেতাই। এই তালিকায় দেশটির বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেকেই রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি উল্লেখযোগ্য।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রোববার (১২ মার্চ) পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে তোষাখানা থেকে গৃহীত সব উপহারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০২ থেকে শুরু করে ২০২২ সাল পর্যন্ত কে বা কারা তোষাখানা থেকে উপহার গ্রহণ করেছেন তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ওয়েবসাইটে। 

এ সময়ের মধ্যে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনীতিবিদ, আমলা, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, বিচারক এবং সাংবাদিকরা তোষাখানা থেকে উপহার গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয়েছে ডনের প্রতিবেদনে। 

তোষাখানা থেকে উপহার গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, নওয়াজ শরীফ, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রয়াত সামরিক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খান জামালি, সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, শেখ রশিদ আহমেদ, খুরশিদ কাসুরি, আবদুল হাফিজ শেখ, জাহাঙ্গীর তারিন, শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং ড. আতাউর রহমানসহ আরও অনেকে।

প্রাপ্ত নথি অনুসারে, কয়েকটি উপহার ছাড়া বেশিরভাগ উপহারই গ্রহীতার গ্রহণ করেছেন বিনামূল্যে। এর মধ্যে আসিফ আলী জারদারি এবং নওয়াজ শরীফ একটি করে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়েছিলেন এবং তোষাখানায় সামান্য অর্থ দিয়ে এই গাড়িগুলো নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী পাঁচটি মূল্যবান হাতঘড়ি, অলঙ্কার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়েছেন। পারভেজ মোশাররফ ও শওকত আজিজ কোনো মূল্য না দিয়েই শত শত বিদেশী উপহার নিয়ে গেছেন।

এছাড়া প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী এবং স্ত্রী সামিনা আলভি প্রায় ১২ লাখ টাকা মূল্যের একটি নেকলেস নিয়েছিলেন। অবশ্য এর জন্য তারা তোষাখানায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন এবং পরে সেখান থেকে আরও গয়না নিয়ে যান। আরও পরে আরিফ আলভী ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে যান। 

শেখ রশিদ মাত্র ৩ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে দুটি মূল্যবান স্বর্ণমুদ্রাসহ কয়েক ডজন উপহার নিয়ে যান। খুরশিদ কাসুরি ২০০৫ সালে বেশ কয়েকটি উপহার নেন এবং এর কোনোটির মূল্যই তিনি পরিশোধ করেননি। 

সর্বশেষ খবর