Homeজেলামেসেঞ্জারে প্রেম, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন

মেসেঞ্জারে প্রেম, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন

পটুয়াখালীর দুমকীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী (১৯)।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জলিশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করেন।

ওই প্রেমিকা জানান, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জলিশা গ্রামের জেলে পাড়ার মৃত. ইউনুস হাওলাদারের ছেলে মো. রিয়াজুল ইসলাম রাব্বির (২৬) সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বাকেরগঞ্জের ওই তরুণীর মেসেঞ্জার গ্রুপে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাবিব একাধিকবার তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

তিনি বলেন,  ‘বিষয়টি জানাজানি হলে কিছুদিন আগে দুই পরিবারের মধ্যে বাড়িঘর দেখাদেখিও হয়। পরে ‘রাব্বির মায়ের নাকি আমাকে পছন্দ হয়নি’ একথা বলে রাব্বি আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে বিয়ে করতে দ্বিমত পোষণ করে। পরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।’ 

তিনি জানান, পরবর্তীতে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি রাব্বির গ্রামের বাড়িতে শনিবার বিকেল থেকে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। পরে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও স্থানীয় মেম্বার তাকে রাব্বির বাসায় থাকার জন্য দিয়ে আসে। এদিকে, বর্তমানে প্রেমিক রাব্বি ঢাকায় অবস্থান করছেন। আর রাব্বির পরিবারও মেয়েটিকে মেনে নিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাব্বিকে নিজের জীবনের চাইতেও ভালোবাসি আর রাব্বিও আমাকে ভালোবাসত। কিন্তু রাব্বির মায়ের আমাকে পছন্দ না হওয়ায় সে আমাকে মেনে নিচ্ছে না। তবে যতদিন রাব্বি আমাকে বিয়ে না করবে, ততদিন আমি এখানেই অনশন করব। আর যদি এখান থেকে যেতেই হয় তবে আমার লাশ যাবে।’

রাব্বির মা তাসলিমা বেগম বলেন, ‘মেয়েটির সাথে আমার ছেলে রাব্বির সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন ছেলে জানিয়েছেন তার সাথে মেয়েটির আর কোনো সম্পর্ক নাই। ছেলে যদি মেনে না নেয় তবে আমি কি করব।’

অভিযুক্ত রিয়াজুল ইসলাম রাব্বির ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার কামাল ফরাজি বলেন, বিষয়টি ইউএনও, দুমকি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। সোমবার দুপক্ষকে নিয়ে বসার কথা আছে; সেখানে বসেই সিদ্ধান্ত হবে।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে ছেলে-মেয়ের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন বসে মীমাংসা করলেই ভালো হয়। তারপরও যদি মেয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়; তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর