দারুণ পারফম্যান্সের পরও কেন বায়ার্ন মিউনিখের ডাগআউট থেকে ছাঁটাই করা হলো হুলিয়ান নাগেলসমানকে, এমন প্রশ্নে বেরিয়ে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা গেছে, প্রেমিকা লিনা ভুরজেনবার্গারের জন্যই কপাল পুড়েছে নাগেলসমানের। জার্মানির বিখ্যাত পত্রিকা ‘বিল্ড’-এর বায়ার্ন মিউনিখ প্রতিনিধি ছিলেন ভুরজেনবার্গার। আর এ কারণেই নাকি বাভারিয়ানদের সব তথ্য তার কাছে ফাঁস করে দিতেন নাগেলসমান।
এমন ঘটনার পর ‘বিল্ডে’র চাকরি ছেড়েছেন ভুরজেনবার্গারও।
প্রেম মানে না বয়স, মানে না কোনো নিয়মকানুন। শোনে না কোনো পিছুটান। আবার কখনো কখনো প্রেম ঘটায় বিনা মেঘে বজ্রপাত। সেই ঝড়ই এলো হুলিয়ান নাগেলসমান আর লিনা ভুরজেনবার্গারের জীবনে।
দুজনের পরিচয়টা ভিন্ন। এক দিন আগেও একজন ছিলেন ইউরোপের অন্যতম জায়ান্ট ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হেড কোচ। অন্যজন জার্মানির বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘বিল্ড’-এর বায়ার্ন মিউনিখ প্রতিনিধি। কাজের সূত্রেই এ দুজনের পরিচয়, যা পরে রূপ নেয় গভীর প্রেমে। লিনার প্রেমে নাগেলসমান এতটাই ডুবে ছিলেন যে স্ত্রী ভেরেনার সঙ্গে দেড় দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করতেও দুবার ভাবেননি। কিন্তু এই প্রেমই পরবর্তী সময়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
নাগেলসমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোয় বায়ার্নের প্রতিনিধির দায়িত্ব ছাড়তে হয় লিনাকে। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি বিতর্ক। লিনার সঙ্গে নাগেলসমানের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি ছিল বায়ার্নের ড্রেসিংরুমে। বিশেষ করে বায়ার্নের অভ্যন্তরীণ একাধিক খবর ‘বিল্ড’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় খেলোয়াড়রা মনে করতেন নাগেলসমানই সেসব তথ্য দিতেন লিনা ভুরজেনবার্গারকে। বিল্ডে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বায়ার্ন কীভাবে কৌশল বদলায়, তা তুলে ধরা হয়েছিল। প্রমাণ না থাকার পরও এ নিয়ে নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলাররা আপত্তিও জানিয়েছেন বাভারিয়ান কর্তৃপক্ষকে।
সব মিলিয়ে তাই ড্রেসিংরুমের অনাস্থাই ছাঁটাই করতে বাধ্য হয় হুলিয়ান নাগেলসমানেকে। তবে ঘটনা থেকে থাকেনি এখানেই।
নাগেলসমানের ছাঁটাইয়ের পর বিল্ড থেকে চাকরি ছেড়েছেন লিনা ভুরজেনবার্গার। যেটাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছে বিল্ড কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে লিনার ভবিষ্যতের জন্য জানিয়েছেন শুভকামনা। তবে বলাই বাহুল্য এ বিতর্ক থামছে না শিগগিরই।
