Homeশীর্ষ সংবাদসন্ধ্যার পর মিশন শুরু, সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে ফেলা হয় মহাসড়কে

সন্ধ্যার পর মিশন শুরু, সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে ফেলা হয় মহাসড়কে

মাইক্রোবাস নিয়ে সন্ধ্যার পর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় ঘুরতে থাকে তারা। খুঁজতে থাকে টার্গেট। গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তোলা হয় গাড়িতে। পরে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবানসামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে হাতকড়া পরানো অবস্থায় ফেলে দেয় মহাসড়কে।

মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনের সড়কে একটি রিকশা অনুসরণ করছে কালো রংয়ের মাইক্রোবাসটি। ছবি: সিসিটিভি ক্যমেরা থেকে নেয়া

মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনের সড়ক, ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮টায় একটি রিকশা অনুসরণ করতে দেখা যায় কালো রঙের মাইক্রোবাসকে। সবশেষ যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় মাইক্রোবাসটি।

সে রাতে রিকশায় যে ব্যক্তি ছিলেন, তিনি মতিঝিলের একটি মানি এক্সচেঞ্জে কাজ করেন। রিকশা থামিয়ে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাইক্রোতে তুলে নেয়া হয়েছিলে। পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের নির্জন জায়গায় তাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া চার সদস্যের দল।

এরপর মাইক্রোবাসের চালকও যোগাযোগ করেন সময় সংবাদের সঙ্গে। তার দাবি, পুলিশ পরিচয়ে অভিযানে যাওয়ার কথা বলে ভাড়া করা হয়েছিল গাড়িটি। চালকও সরল বিশ্বাসে পুলিশ ভেবেই রাজি হয়েছিলেন। পরে যখন হাতকড়া পরানো অবস্থায় রাস্তার মাঝে মানি এক্সচেঞ্জে কাজ করা ওই ব্যক্তিকে ফেলে চলে যেতে বলে তখনই তার সন্দেহ হয়। এরপরই বিষয়টি তিনি গাড়ির মালিককে জানান।

তিনি বলেন, ‘তারা গাড়ি ভাড়াবাবদ টাকা পরিশোধ করে বিকাশে এবং পরদিন আবারও গাড়ি ভাড়া করতে চয়। আমি না করে দিলে তারা আমাকে অনেক কিছু দেবে বলে অফারও দেয়। কিন্তু আমি আর রাজি হয়নি।’

গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন নয়। রাজধানীসহ সারা দেশে এই চক্রগুলোর উৎপাত থামেনি, বরং নতুন নতুন কৌশলে তারা একের পর এক ছিনতাই করে যাচ্ছে।

তাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাধারণ মানুষের উদ্দেশে অনুরোধ করে বলেন, কারো কাছে অপরিচিত কেউ যদি ডিবি পরিচয় দিয়ে ওয়ারেন্ট, মামলা বা কোথাও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাহলে যাতে একটু যাচাই-বাছাই করা হয়। সে দেখবে তার কার্ড আছে কি না, আশপাশের লোকজন আছে তাদের মাধ্যমে পরিচয় জানার চেষ্টা করবে আসলেই ডিবি কি না। কেউ একজন পরিচয় দিল, আর তাদের গাড়িতে উঠে ছিনতাই, মারধরের শিকার হওয়া দুঃখজনক।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা এমন অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যেখানেই অভিযোগ পাব, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশ শহীদ মাঝি নামে একজনকে খুঁজছে। পুলিশের খাতায় শহীদ তালিকভুক্ত অপরাধী। ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মূলহোতা এই শহীদ মাঝি।

সর্বশেষ খবর